Skip to main content

How old are you ?

"চালশে ধরা" কথাটার সাথে আমরা সকলেই পরিচিত । সাধারণভাবে এ কথার মানে হচ্ছে বয়সের সাথে দৃষ্টি শক্তির হ্রাস পাওয়া । এই নির্মম সত্যের সাথে আমরা মুখোমুখি হই পড়তে বা লিখতে গিয়ে । ছোট হরফের লেখা আর আগের মতো খালি চোখে পরিস্কার দেখা যায় না । + পাওয়ারের লেন্স দরকার হয় । চল্লিশের পর থেকে বার্ধক্যের লক্ষণ আরো নানাভাবে দেখা দিতে থাকে । একে একে শমন জারি হতে থাকে শরীরের বিভিন্ন দপ্তর থেকে । আজ দাঁত ব্যথা তো কাল পেট বা বুক । পরশু আয়নায় চুলের সফেদায়ন বা প্রসারমান ললাটদেশ দেখে আঁৎকে ওঠা ! এই সকল সমস্যা শুধু যে আমাদের তা কিন্তু নয় । পৃথিবীর সব দেশের মানুষের বেসিক বিষয়গুলো মোটামুটি একই রকমের । চল্লিশ বছর বয়স মানে জীবনসূর্য ইতিমধ্যেই পশ্চিম দিকে ঢলতে শুরু করেছে । অর্ধেক জীবন পেরিয়ে প্রৌঢ়ত্বপর্ব শুরু হয়ে গেছে। ক্রমে আসবে বার্ধক্য, তারপর মৃত্যু সত্তর থেকে আশির মধ্যে । মানুষের গড় আয়ু বেড়ে গেলেও সকলের পক্ষে কিন্তু একশ হাঁকানো সম্ভব না । এটা ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেমন সত্য তেমনি জীবনের ক্ষেত্রেও ।
এবারে দেখা যাক এই চরম সত্যগুলোর প্রতিফলন ভাষাভাণ্ডারে কেমন পড়েছে । চল্লিশকে ল্যাটিনে বলে quadraginta. চল্লিশের পর থেকে একশ পর্যন্ত বার্ধক্যের লক্ষণগুলো শনাক্ত করে প্রতি দশ বছর অন্তর একটি করে বান্ডিল বেঁধে নামকরন করা হয়েছে । চল্লিশ বছর বয়স্ক লোককে বলা হয় quadragenarian .এমনি করে 50 yr old= quinquagenarian / 60 yr old= sexagenarian / 70 yr old= septuagenarian / 80 yr old = octogenarian /
90 yr old =nonagenarian / 100 yr old =centenarian .
যেহেতু ওল্ড কথাটা চল্লিশ থেকে শুরু , তাই তার আগের যে তিনটি দশক আছে - দশ, কুড়ি ও তিরিশ -তাদের জন্য এক কথায় প্রকাশ প্রায় এমন কোন বার্ধক্যসূচক শব্দ কোন অভিধানে নেই ।
তাহলে প্রমাণ হয়ে গেল যে উনচল্লিশ পর্যন্ত old বলা যুক্তিযুক্ত নয় । তা সত্বেও দেখুন জীবনের প্রথম দিন থেকে ৩৯ বছর পর্যন্ত সকল শিশু , কিশোর ও যুবাকে বুড়ো বলে বর্ণনা করা হয় । সবাইকে জিজ্ঞেস করা হয় " How old are you ?" পুরো ব্যাপারটাই হাস্যকর মনে হতে বাধ্য । এছাড়া ইংরেজি বানানের ক্ষেত্রেও অনেক উল্টো পাল্টা শব্দ রয়েছে যেগুলোর উচ্চারণের সাথে বানানের মিল নেই । b u t বাট কিন্তু p u t পুট ! B l o o d ব্লাড, কিন্তু f o o d ফুড ! Pencil- এর ই এ কার , কিন্তু certain- এর ই আ কার !R o u g h রাফ, d o u g h - এর বেলায় ডাও ! এরকম বেনিয়মের উদাহরণ অসংখ্য । ইংরেজরা যা রক্ষণশীল , কোনদিন এসবের সংস্কার হবে কি ?

Comments

Popular posts from this blog

রবীন্দ্রনাথের বুদ্ধ পূজা

উনবিংশ শতকের মনীষীদের মধ্যে স্বামী বিবেকান্দ ও রবীন্দ্রনাথ গৌতম বুদ্ধের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল ছিলেন । বৌদ্ধ ধর্ম ভারতে প্রায় বিলুপ্ত হলেও বুদ্ধদেব কিন্তু হিন্দু অবতার বরিষ্ঠদের একজন । তাঁর জীবন ও বাণী সর্ব যুগের আদর্শ হতে পারে । সেই মহতী বাণী সমগ্রের সারমর্ম বিধৃত আছে চারটি শব্দের মধ্যে : মৈত্রী , করুণা, মুদিতা ও উপেক্ষা । প্রতিদিনের জীবন যাত্রায় এই চারটি গুণ অনুসৃত হলে মানুষ তার ক্ষুদ্র সত্তা অতিক্রম করে মহাত্ম্যা হবে , পুনর্জন্মের দুর্ভোগ ভুগতে হবে না ।ব্যাপারটা একটু বিশদ করি । আমরা সাধারণ মানুষরা আলাদা আলাদা সংসার পেতে সুখের সন্ধানে মেতে উঠি । এটা চাই , ওটা চাই - চাওয়ার শেষ নেই ! এই যে সর্বগ্রাসী অভিলাষ , এটাই সকল দু:খের মূল । তাই বুদ্ধ বললেন ," কামনা উপেক্ষা কর । হৃদয়ে সদা বহমান হোক মৈত্রী ও করুণা ধারা । সকলকে আপন কর । শুধু মানুষ নয় , মনুষ্যেতর প্রাণীকুলকেও আপন কর । এই অবাধ সেবা ধর্মের আচরণের ফলে মানুষ মহামানব হবে যা দেবত্ব প্রাপ্তির চেয়েও বড ।সেই অবস্থায় এক অনির্বচনীয় প্রশান্তিতে তার মুখমণ্ডল শোভিত হবে । এরই নাম মুদিতা । এই অপার্থিব রূপই পরিলক্ষিত হয়...

শব্দের মন মাতানো ইতিহাস - একিলিস ও হেক্টরের দ্বন্দ্ব

Achelles' heel -এই ইডিয়ামের অর্থ: কারুর শারীরিক বা চারিত্রিক দুর্বলতার জায়গা ।একিলিস ছিলেন অন্যতম প্রধান গ্রিক বীরদের মধ্যে একজন । কিন্তু তার পায়ের গোডালি ছিল খুব দুর্বল । কেন দুর্বল তা জানতে হলে দুর্যোধনের কাহিনি উঠবেই । কুরু-পাণ্ডবের যুদ্ধ যখন দ্রুত ভয়ংকর পরিণতির দিকে এগুচ্ছে-শতপুত্রের মধ্যে অনেকেই নিহত , তখন গান্ধারী প্রিয় পুত্র দুর্যোধনকে অন্তত বাঁচিয়ে রাখার উপায় ভাবলেন । তিনি পুত্রকে বললেন গোপনে স্নান সেরে নিরাভরণ নিরাবরন দেহে তাঁর সামনে হাজির হতে । গান্ধারী মনে মনে ঠিকক করেছেন তাঁর সাধনা- লব্ধ শক্তি দিয়ে দুর্যোধনের শরীর দুর্ভেদ্য করে দেবেন । শুধু তো একবার চোখ খুলে তাকানোর অপেক্ষা!তাঁর মনের কথা টের পেয়ে শ্রীকৃষ্ণ এক ফাঁকে দুর্যোধনের কানে মন্তর দিলেন: যুবাপুরুষ তুমি ,মায়ের সামনে উলঙ্গ হয়ে দাঁডাবে? লজ্জার মাথা খেয়েছ ? দুর্যোধন তখন একখণ্ড লজ্জানিবারনী বস্ত্র নিম্নাঙ্গে জডিয়ে মায়ের সামনে এল । মা চোখের বাঁধন খুলে তাকানো মাত্র বস্ত্রাবৃত জায়গাটুকু ছাডা দুর্যোধনের বাকি শরীর লৌহ- কঠিন হয়ে গেল । কিন্তু ক্ষতি যা হওয়ার তা হয়ে গেছে । পরের ঘটনা আমাদের সবার ...

যোগ বিষয়ে ব্যতিক্রমী ভাবনা

২১শে জুন বিশ্ব যোগ দিবস । যোগের মাহাত্ম্য ও ভারতের অবদান নিয়ে এতটাই প্রচার চলছে যে কিছু কথা আপনার আমার কানে ঢুকবেই । এই মূহুর্তে আমার নাতনি সেই বহুশ্রুত গানটা গাইছে - বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো ....." এ গান আমার ছেলেও গেয়েছে তার ছেলেবেলায় । তখন ততটা মনোযোগ দিই নি । আজ আমি তাক থেকে গীতবিতান নামিয়ে গানটা বার করে পড়লাম । আমার তাৎক্ষণিক অনুভূতি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি । কালজয়ী কবিরা যেহেতু স্থান কাল পাত্রপাত্রী ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে , তাই আশা করি আপনাদেরও ভাল লাগতে পারে । সকলেই জানেন, যোগের অর্থ - চঞ্চল মনের গতি রোধ করে ধ্যেয় বস্তু বা সত্ত্বার সঙ্গে একীভূত হওয়া । কিন্তু লক্ষ্য করুন, আলোচ্য গানের বিশ্বপিতা নিজেই যুক্ত হচ্ছেন বিশ্বের সাথে ! শাস্ত্রে আছে - ভক্ত ভগবানকে খোঁজে । এখানে ভক্তের কিন্তু আলাদা স্টেটাস বা প্রিভিলেজ নেই । ভগবান সকলকেই আপন করে নিতে নিজে এগিয়ে এসেছেন । কবিও সাধারণের মধ্যে থেকেই ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হতে চাইছেন । দ্বিতীয়ত দেখুন , ধ্যান সম্পর্কে আমাদের প্রচলিত ধারণা হচ্ছে - মনে বনে কোণে - এই তিনটে ধ্যানের উপযুক্ত জায়গা । রবীন্দ্রনাথ বলিষ্ঠ প্...