কোন লেখায় বেশি পরিসংখ্যান থাকলে আমি সাধারণত পাস কাটিয়ে চলি । কারণ
পরিস্কার ! স্ট্যাটিস্টিকস- এর ফোবিয়া ! কিন্তু পানীয় জলের সমস্যার ওপর
টাইমস অব ইন্ডিয়ার ২৩ মে'র একটা আরটিকল্ স্ট্যাটিসটিকস বহুল হওয়া
সত্ত্বেও এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেললাম । যেহেতু এই গ্লোবাল সমস্যায় ভারতের
দিকে আঙ্গুল উঠেছে তাই সংক্ষেপে ব্যাপারটা ফেসবুকে তুলে ধরছি
পৃথিবীর মোট জল সম্পদের পরিমাণ : 1386 মিলিয়ন কিউবিক কিমি ।( এক কিউবিক মিটার =1000 লিটার ) এর 96.5% আছে সমুদ্রে ।সাগর উপসাগরের লোনা জলের পরিমাণ0.9% l আর পেয় জলের পরিমাণ 2.5% । ভারতের ভাগে রয়েছে 4000 বিলিয়ন কিউবিক মিটার । এই জল ভাণ্ডারের মাত্র 1869bcm আমরা পেতে পারি দুটো উৎস থেকে : ১) ভূতলে অবস্থিত হ্রদ ,সরোবর , নদ নদী ইত্যাদি । এর পরিমাণ : 728bcm ২) ভূগর্ভস্থ জল : এর পরিমাণ : 395bcm
যেহেতু ভারত কৃষিপ্রধান দেশ তাই আমাদের ভূগর্ভস্থ জলের সিংহভাগ চাষবাসে খরচ হয় । তার পরিমাণ : 83% ! শিল্পে লাগে 5% আর পারিবারিক প্রয়োজনে 12%
এবারে ভারত , চীন ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদিনের মাথাপিছু জল খরচের তুলনামূলক চার্ট দেখুন:
দেশ 2000সালে ব্যবহৃত জলের % হিসাব। 2050সালে প্রয়োজনীয় জলের %
ভারত। 88.9. 167
চীন। 82.7. 155.4
ইউ এস এ। 582.7. 484.6
ওপরের চিত্র থেকে এটা পরিস্কার যে ভারতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার চীন ও আমেরিকার চেয়ে বেশি । অথচ চীনের জনসংখ্যা তো বরাবরই বেশি ছিল ! ভারতে লোকসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে কৃষিখাতে আরও বেশি জল লাগবে কিন্তু জমা জলের পরিমাণ তো ভয়ানকভাবে কমে আসছে ! এর সাথে যোগ করুন ক্রমবর্ধমান আবাসনগুলোর পাম্প করে জল উঠানোর ঘটনা । এটা মনে হয় হিসেবের বাইরে । তাই অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরি । নিচে কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হল :
1. ১) জনসংখ্যার ঊর্ধ্ব গতিতে ব্রেক লাগানো । দীর্ঘ৪১ বছর ফ্যামিলি প্ল্যানিং খাতে ভষ্মে ঘি ঢেলে আশির দশকের শুরুতেই গোটা জিনিসটা শিকোয় তুলে রাখা হয় । পরবর্তি সব সরকার কেন নীরব ও নিশ্চেষ্ট তা সকলেরই জানা । কিন্তু এ ব্যপারে জনসচেতনতা না বাড়ালে এবং আইনি ব্যবস্থা না নিলে ভারত কিন্তু " রাক্ষুসে " দেশ বলে চিহ্নিত হতে পারে !
2. রেকর্ডভুক্ত কোন পুকুর বা জলাভূমি বোজানো ও নির্মাণকাজ চলবে না । জঙ্গল সাফ করে চাষ বা বসতবাড়ি বানানো চলবে না ।
3. শুধু কৃষি নির্ভরতা নয় -শিল্পের দিকেও নজর দিতে হবে । এতে জলের সাশ্রয় হবে ,আর্থিক দিকদিয়েও লাভবান হওয়া যাবে ।
4. জলের সার্বিক অপচয় বন্ধ করতে হবে ।
5. পেয় জলের যে বিরাট অংশ প্রতি বছর " প্রসাদ বারি "প্রকৃতির আশীর্বাদরূপে বর্ষিত হয় তার সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে ।নইলে প্রকৃতির প্রতিশোধ অনিবার্য । এর স্পষ্ট ঈঙ্গিত ২০৫০ এর নিম্নগতির সূচকে রয়েছে । জল না পেয়ে লোকসংখ্যা কমবে।
পৃথিবীর মোট জল সম্পদের পরিমাণ : 1386 মিলিয়ন কিউবিক কিমি ।( এক কিউবিক মিটার =1000 লিটার ) এর 96.5% আছে সমুদ্রে ।সাগর উপসাগরের লোনা জলের পরিমাণ0.9% l আর পেয় জলের পরিমাণ 2.5% । ভারতের ভাগে রয়েছে 4000 বিলিয়ন কিউবিক মিটার । এই জল ভাণ্ডারের মাত্র 1869bcm আমরা পেতে পারি দুটো উৎস থেকে : ১) ভূতলে অবস্থিত হ্রদ ,সরোবর , নদ নদী ইত্যাদি । এর পরিমাণ : 728bcm ২) ভূগর্ভস্থ জল : এর পরিমাণ : 395bcm
যেহেতু ভারত কৃষিপ্রধান দেশ তাই আমাদের ভূগর্ভস্থ জলের সিংহভাগ চাষবাসে খরচ হয় । তার পরিমাণ : 83% ! শিল্পে লাগে 5% আর পারিবারিক প্রয়োজনে 12%
এবারে ভারত , চীন ও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিদিনের মাথাপিছু জল খরচের তুলনামূলক চার্ট দেখুন:
দেশ 2000সালে ব্যবহৃত জলের % হিসাব। 2050সালে প্রয়োজনীয় জলের %
ভারত। 88.9. 167
চীন। 82.7. 155.4
ইউ এস এ। 582.7. 484.6
ওপরের চিত্র থেকে এটা পরিস্কার যে ভারতে ভূগর্ভস্থ জলের ব্যবহার চীন ও আমেরিকার চেয়ে বেশি । অথচ চীনের জনসংখ্যা তো বরাবরই বেশি ছিল ! ভারতে লোকসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে তাতে কৃষিখাতে আরও বেশি জল লাগবে কিন্তু জমা জলের পরিমাণ তো ভয়ানকভাবে কমে আসছে ! এর সাথে যোগ করুন ক্রমবর্ধমান আবাসনগুলোর পাম্প করে জল উঠানোর ঘটনা । এটা মনে হয় হিসেবের বাইরে । তাই অবিলম্বে কিছু ব্যবস্থা নেওয়া খুব জরুরি । নিচে কয়েকটি প্রস্তাব রাখা হল :
1. ১) জনসংখ্যার ঊর্ধ্ব গতিতে ব্রেক লাগানো । দীর্ঘ৪১ বছর ফ্যামিলি প্ল্যানিং খাতে ভষ্মে ঘি ঢেলে আশির দশকের শুরুতেই গোটা জিনিসটা শিকোয় তুলে রাখা হয় । পরবর্তি সব সরকার কেন নীরব ও নিশ্চেষ্ট তা সকলেরই জানা । কিন্তু এ ব্যপারে জনসচেতনতা না বাড়ালে এবং আইনি ব্যবস্থা না নিলে ভারত কিন্তু " রাক্ষুসে " দেশ বলে চিহ্নিত হতে পারে !
2. রেকর্ডভুক্ত কোন পুকুর বা জলাভূমি বোজানো ও নির্মাণকাজ চলবে না । জঙ্গল সাফ করে চাষ বা বসতবাড়ি বানানো চলবে না ।
3. শুধু কৃষি নির্ভরতা নয় -শিল্পের দিকেও নজর দিতে হবে । এতে জলের সাশ্রয় হবে ,আর্থিক দিকদিয়েও লাভবান হওয়া যাবে ।
4. জলের সার্বিক অপচয় বন্ধ করতে হবে ।
5. পেয় জলের যে বিরাট অংশ প্রতি বছর " প্রসাদ বারি "প্রকৃতির আশীর্বাদরূপে বর্ষিত হয় তার সংরক্ষণ ও সঠিক ব্যবহারের ব্যবস্থা নিতে হবে জরুরি ভিত্তিতে ।নইলে প্রকৃতির প্রতিশোধ অনিবার্য । এর স্পষ্ট ঈঙ্গিত ২০৫০ এর নিম্নগতির সূচকে রয়েছে । জল না পেয়ে লোকসংখ্যা কমবে।
Comments
Post a Comment