ছাত্র : সত্যের সংজ্ঞা কি স্যার ?
শিক্ষক : সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে কেউ যদি জানতে চায় জানকী কার বাপ , সেটা যেমন হাস্যকর , তেমনি এই যুগে কেউ যদি গুগল ছেড়ে শিক্ষকের কাছে আসে সত্যের সংজ্ঞা জানতে তা হবে আরও আশ্চর্যের ! তোমার মতলব কি বলতো ? লেগ পুলিং নয়তো ?
ছাত্র : না স্যার ! আমি কি তাই করতে পারি ?
শিক্ষক : তোমাকে আমি বিশ্বাস করি , স্নেহ করি - তাই বলছি : যা শাশ্বত , ত্রিকালব্যাপী অপরিবর্তিত , তাকেই বলে সত্য ।
ছাত্র : স্যার একটু সহজ করে বলা যায় কি ? শাশ্বত , ত্রিকালব্যাপী - কথাগুলো বড্ড কঠিন ।
শিক্ষক : আচ্ছা বাবা , চেষ্টা করছি । জোয়ারের সময় গঙ্গা দেখেছ ?
ছাত্র : হ্যাঁ স্যার , হুগলিতে গঙ্গার ধারে আমার মামার বাড়ি ! ঢেউগুলো তখন ফুলে ফেঁপে দুকূল ছাপিয়ে ধেয়ে আসে ।
শিক্ষক : কোন দিকে ধেয়ে আসে ?
ছাত্র: উত্তর দিকে ! জোয়ারের সময় তো উল্টো স্রোত !
শিক্ষক : তুমি নিজের চোখে যা ঘটতে দেখ , তাকেই তো তুমি ফ্যাক্ট বা রিয়ালিটি বল ! কিন্তু তোমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে তুমি জান যে হুগলিতে গঙ্গা দক্ষিণমুখী ।তুমি যা দেখছ তা সাময়িক । একই ভাবে রূপ যৌবন , ধন দৌলত - সবই সাময়িক ।এই আছে , এই নেই ! শুধু সত্য ছাড়া ।
ছাত্র : বা : উদাহরণটা কী সুন্দর !
শিক্ষক : এরকম উদাহরণ আরও দিতে পারি । তুমি জান, বর্ধমানের পশ্চিমপ্রান্তে আমাদের একটা বাড়ি ছিল । আমার নিজের হাতে লাগানো ফুলগাছে কত প্রজাপতি , ভ্রমর এমনকি হামিংবার্ড আসত মধু খেতে । ফলের গাছগুলোতে দিনভর পাখি ডাকত , ফল পাকলে ফল খেতো। কত ছাত্রছাত্রী আসত, জ্ঞানীগুণী মানুষজন আসতেন - আজ কিন্তু কিছু নেই ! কেবেলস্ এর সোনালি দিনগুলোর কথাই ভাবো না ! কেমন যেন ম্যাজিকের মতো ভ্যানিশ করে গেল !
ছাত্র : সত্যি স্যার ! এ যেন মায়ার খেলা !
শিক্ষক : Right you are! Everything on this earth is illusory , except Truth ! সত্য যদি ফ্যাশনের মতো নিত্য trend পাল্টাত , তাহলে তো সর্বনাশ ! সমাজ সভ্যতাকে ধরে রাখবে কে তাহলে? তাই প্রকৃত জ্ঞানী আদর্শবাদীরা কোন কিছুর বিনিময়ে সত্য ত্যাগ করেন না ।
ছাত্র : স্যার , কথাটা বলা সহজ কিন্তু বাস্তবে অত সহজ নয় । জীবজগতের সকলেরই সহজাত প্রবৃত্তির মধ্যে প্রবলতম দুটি প্রবৃত্তি হচ্ছে : বেঁচে থাকা ও বংশরক্ষা করার তাগিদ । প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ যে সব পথ অবলম্বন করে তা নীতি ধর্ম ও সংস্কার অনুমোদিত নাও হতে পারে । তবু তাকে সমর্থন করে তৈরি হয়েছে এই আপ্তবাক্য : Nothing is unfair in love & war !
শিক্ষক : ওটা তো ব্যতিক্রম , বিচ্যুতি ! ব্যতিক্রম তো দৃষ্টান্ত হতে পারে না ! সত্য হচ্ছে উপত্যকার দুপাশে দাঁড়ানো তুষার শুভ্র শৃঙ্গের মতো । জল যেমন তার উৎসের উচ্চতা পর্যন্ত উঠবেই , সেটাই তার ধর্ম - তেমনি সভ্যতাও অবক্ষয় ও পতনের পর আবার ওঠার চেষ্টা করে ঐ সত্যরূপী শৃঙ্গ দেখে ।
ছাত্র : ঐ জলের উপমাটা স্যার একটা দুরূহ বিষয় জলের মতো সহজ করে দিল । ধন্যবাদ স্যার ।
শিক্ষক : সাত কাণ্ড রামায়ণ পড়ে কেউ যদি জানতে চায় জানকী কার বাপ , সেটা যেমন হাস্যকর , তেমনি এই যুগে কেউ যদি গুগল ছেড়ে শিক্ষকের কাছে আসে সত্যের সংজ্ঞা জানতে তা হবে আরও আশ্চর্যের ! তোমার মতলব কি বলতো ? লেগ পুলিং নয়তো ?
ছাত্র : না স্যার ! আমি কি তাই করতে পারি ?
শিক্ষক : তোমাকে আমি বিশ্বাস করি , স্নেহ করি - তাই বলছি : যা শাশ্বত , ত্রিকালব্যাপী অপরিবর্তিত , তাকেই বলে সত্য ।
ছাত্র : স্যার একটু সহজ করে বলা যায় কি ? শাশ্বত , ত্রিকালব্যাপী - কথাগুলো বড্ড কঠিন ।
শিক্ষক : আচ্ছা বাবা , চেষ্টা করছি । জোয়ারের সময় গঙ্গা দেখেছ ?
ছাত্র : হ্যাঁ স্যার , হুগলিতে গঙ্গার ধারে আমার মামার বাড়ি ! ঢেউগুলো তখন ফুলে ফেঁপে দুকূল ছাপিয়ে ধেয়ে আসে ।
শিক্ষক : কোন দিকে ধেয়ে আসে ?
ছাত্র: উত্তর দিকে ! জোয়ারের সময় তো উল্টো স্রোত !
শিক্ষক : তুমি নিজের চোখে যা ঘটতে দেখ , তাকেই তো তুমি ফ্যাক্ট বা রিয়ালিটি বল ! কিন্তু তোমার জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে তুমি জান যে হুগলিতে গঙ্গা দক্ষিণমুখী ।তুমি যা দেখছ তা সাময়িক । একই ভাবে রূপ যৌবন , ধন দৌলত - সবই সাময়িক ।এই আছে , এই নেই ! শুধু সত্য ছাড়া ।
ছাত্র : বা : উদাহরণটা কী সুন্দর !
শিক্ষক : এরকম উদাহরণ আরও দিতে পারি । তুমি জান, বর্ধমানের পশ্চিমপ্রান্তে আমাদের একটা বাড়ি ছিল । আমার নিজের হাতে লাগানো ফুলগাছে কত প্রজাপতি , ভ্রমর এমনকি হামিংবার্ড আসত মধু খেতে । ফলের গাছগুলোতে দিনভর পাখি ডাকত , ফল পাকলে ফল খেতো। কত ছাত্রছাত্রী আসত, জ্ঞানীগুণী মানুষজন আসতেন - আজ কিন্তু কিছু নেই ! কেবেলস্ এর সোনালি দিনগুলোর কথাই ভাবো না ! কেমন যেন ম্যাজিকের মতো ভ্যানিশ করে গেল !
ছাত্র : সত্যি স্যার ! এ যেন মায়ার খেলা !
শিক্ষক : Right you are! Everything on this earth is illusory , except Truth ! সত্য যদি ফ্যাশনের মতো নিত্য trend পাল্টাত , তাহলে তো সর্বনাশ ! সমাজ সভ্যতাকে ধরে রাখবে কে তাহলে? তাই প্রকৃত জ্ঞানী আদর্শবাদীরা কোন কিছুর বিনিময়ে সত্য ত্যাগ করেন না ।
ছাত্র : স্যার , কথাটা বলা সহজ কিন্তু বাস্তবে অত সহজ নয় । জীবজগতের সকলেরই সহজাত প্রবৃত্তির মধ্যে প্রবলতম দুটি প্রবৃত্তি হচ্ছে : বেঁচে থাকা ও বংশরক্ষা করার তাগিদ । প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মানুষ যে সব পথ অবলম্বন করে তা নীতি ধর্ম ও সংস্কার অনুমোদিত নাও হতে পারে । তবু তাকে সমর্থন করে তৈরি হয়েছে এই আপ্তবাক্য : Nothing is unfair in love & war !
শিক্ষক : ওটা তো ব্যতিক্রম , বিচ্যুতি ! ব্যতিক্রম তো দৃষ্টান্ত হতে পারে না ! সত্য হচ্ছে উপত্যকার দুপাশে দাঁড়ানো তুষার শুভ্র শৃঙ্গের মতো । জল যেমন তার উৎসের উচ্চতা পর্যন্ত উঠবেই , সেটাই তার ধর্ম - তেমনি সভ্যতাও অবক্ষয় ও পতনের পর আবার ওঠার চেষ্টা করে ঐ সত্যরূপী শৃঙ্গ দেখে ।
ছাত্র : ঐ জলের উপমাটা স্যার একটা দুরূহ বিষয় জলের মতো সহজ করে দিল । ধন্যবাদ স্যার ।
Comments
Post a Comment